শাপলা শালুক আর ধ্রবতারা






(১)
শাপলা নয়। লাল শালুকের থুতনিতে যে গুনগুন স্বর,স্বর্গ স্বরূপ সে শব্দের ঘনঘটায় দিঘীর বিভাজ্যতার নাম লজ্জা ।
                   (২)
মানবী,কাল রাতে তোকে দেখলাম এক পা,দুই পা করে তুই এগোচ্ছিস লাল কাঁকড়ার দিকে। ঠাকুরপুকুর থেকে যে রঞ্জনরশ্মিগুলো তোকে পোড়াচ্ছিলো, আমার কষ্টগুলো ডিপোজিট করলাম তোর সেই মাংসল কাটা স্তনের ভল্টে।
                   (৩)
শিশুর মাতৃ ক্রোড় শুন্যাঙ্কের নীচে নেমে চলেছে।  আর, নির্লিপ্ত মাতৃভাষা লাল টুকটুকে বেনারসির ভেতর দিয়ে বিবাহচিহ্ন মেখে একটি পুরুষ পাখিকে একলাটি রেখে যখন জলজ হয়ে যাচ্ছে, ঠিক তখন শস্য দানার ভিতর থেকে বসন্তবৌড়ি খেচড়প্রজাতির হাতে হাত মেলালো।
                  (৪)
মানবী,রাত বাড়ছে বান্ধবী। আয়, তোকে আজ ধ্রুবতারা দিয়ে সাজিয়ে তুলি। মুখের বাঁদিকে আঁকবো একটি কৃষ্ণতিল,যাতে সবাই তোকে বিন্দুবাসীনি বললে,আমার তল্লা বাঁশের বাঁশির ধানঢেউ খেলার ছলে একটা দূর্বোধ্য মাঠ পার হয়ে জোৎস্না আনতে যেতে পারে একা এবং একাই। 


    শর্মিষ্ঠা বিশ্বাস 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন