ইঁট ও একাকিত্ব





চিত্র ১

এখন দিব্যি একাকিত্বের জেগে ওঠা
উদ্বায়ী মন ,কোনরকম অনুপ্রেরণা ছাড়া
দিব্যি অন্ধকার ঠেলে গাছেদের বন্ধু,  স্থানীয়,
সব নুড়ি পাথরকে সূর্যের রোল কলে সালোকসংশ্লেষে
লুচি ভাজা হয়, পিছনে এক মাটির ঘ্রাণ
মা এখন চন্ডী মিস্ত্রির জন্য সাদা সাদা কাপড় জড়ো করে।
ওদিকে তেলে ফুটন্ত বেসনের আলপনায়
জেগে ওঠা উঠানের একপাশে দিব্যি ধূপ ধুনো,
গুড় ফোটে, গ্রামের পায়ে পায়ে হারু জেঠু,
একা এসে ব্যাকটেরিয়া সরায়,  সারা উঠানে ভোর নামে,
পাত পেরে গত রাতের একটা নির্ভেজাল ভোজে।






চিত্র২

কোন বেড়া ছিলনা,  শুধু হাত তুলে একটা প্রণাম ছাড়া।
তখনই ছুটি নিতে হল, পুরানো ভাঙা মন্দিরের নিচে
গাড়ি চলে, তাকে থমকে রাখতেই তো গোবরের
মারুলি পাতা। ধরে রাখতে এক দুই করে গুড়ের বাতাসা মেশে,
পুরোহিত নারায়ণ আনে, তার মেয়ে আদালতের নিত্যযাত্রি এখন।
তারপর আয়তক্ষেত্রের পিঠে ভাগ করে
গ্রামের রাখাল, সব কিছু ফেলে দিয়েও বসে বসে ঘুম
আর জেগে থাকার ঔরস গন্ধে হেঁটে চলে ধুলো বালি,
পুরানো রাজবাড়ি, এখন ভিতরে লুডো খেলে
গুমঘর আর ভাঙা মঞ্চের কয়েকটা গোটা গোটা ইঁট।


ঋভু চট্টোপাধ্যায়

1 টি মন্তব্য: